কলকাতা পুরনিগমের ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কারের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই ওই দুই নেতা ও নেত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
তৃণমূলের দুই নেতা ও নেত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা জীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল। ভবিষ্যতে তাঁদের দলে ফেরানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।
বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর কলকাতা পুরনিগমের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁকে কিছু জানানোও হয়নি। দলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগও হয়নি। এই একই ঘটনা প্রসঙ্গে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আর তৃণমূলের কোনও সদস্য নন। সদস্যপদ পুনর্নবীকরণও করেননি। ফলে বহিষ্কারের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। তাঁর দাবি, তিনি নিজেকে কখনও তৃণমূল নেতা হিসাবে উল্লেখ করেন না। তৃণমূলের সমর্থক বলেই মনে করেন।
উল্লেখ্য, শুধু তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন রতন মালাকার। কিন্তু পরে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। দলের প্রথম সারির নেতার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই মনোনয়ন তুলে নেন তিনি।