তীব্র অর্থ সংকটে রয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই অবস্থায় রাজস্ব বাড়াতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যে এবার ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট বা এলাকাভিত্তিক কর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সংশোধন করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর ফলে প্রায় ৯ লক্ষ সম্পত্তির মালিক প্রভাবিত হতে পারেন। এলাকাভিত্তিক কর চালু হলে সে ক্ষেত্রে পুরসভার অয় বাড়বে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই মেয়র পরিষদে গৃহীত হওয়া সেই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবে পুরসভা। রাজ্য সরকারের অনুমতি পেলে তা চালু হয়ে যাবে।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, এলাকা ভিত্তিক সম্পত্তি করে যে কাঠামো রয়েছে পাঁচ বছর পর পর তা সংশোধন করা হয়। সেই সংশোধন প্রক্রিয়া এখন চলছে। রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা ভিত্তিক করের জন্য পুর এলাকাকে ‘এ’ থেকে ‘জি’ পর্যন্ত ৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই প্রত্যেকটি ভাগে করের পরিমাণ আলাদা আলাদা। এমনকী প্রিমিয়াম হাউজিং কমপ্লেক্সগুলির জন্য একটি নতুন বিভাগ তৈরি করার প্রস্তাব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, নয়া প্রস্তাবে প্রতি বর্গফুটের জন্য প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ন্যূনতম মূল্য বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে ‘এ’ ক্যাটাগরির সম্পত্তির জন্য প্রতি বর্গফুটে প্রতি বছরে ৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা করা হতে পারে। একইভাবে, ‘বি’ ক্যাটাগরির সম্পত্তির জন্য প্রতি বর্গফুটে বছরে কর বাড়িয়ে ৫৬ টাকা থেকে ৬২ টাকা পর্যন্ত করা হবে। ‘সি’, ‘ডি’ এবং ‘ই’ ক্যাটাগরির জন্য ভাড়া বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪৭ টাকা, ৩৬ টাকা এবং ২৭ টাকা করা হবে। ‘এফ’ এবং ‘জি’ বিভাগের জন্য প্রতি বর্গফুট ভাড়া বাড়িয়ে যথাক্রমে ২০ টাকা এবং ১৫ টাকা পর্যন্ত করা হবে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ন্যূনতম মূল্যের উপরেই চূড়ান্ত কর নির্ধারণ হয়ে থাকে। তাই এটি বাড়লে সম্পত্তিকরের অঙ্কও বেড়ে যাবে। যদি মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘বিলাসবহুল আবাসন হলেই ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকবে আবার বস্তি এলাকা হলে ‘জি’ ক্যাটাগরিতে থাকবে।’