ডিসেম্বর প্রায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু, এখনও সেরকমভাবে শীতের দেখা মিলেনি। কার্যত এবারের ডিসেম্বরে সেভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। ১৫ ডিগ্রির ওপরেই ঘোরাফেরা করছে রাতের তাপমাত্রা। এমন অবস্থায় মশার উপদ্রব বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই মশার উপদ্রব বাড়লে মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া মতো রোগ বাড়ার আশঙ্কা করছে কলকাতা পুরসভা। সেই কারণে মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে পুরসভার তরফে মানুষকে সতর্ক করা হল।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতায় সবচেয়ে ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছিলেন নিয়মমতো শীত পড়লে ডেঙ্গি কমে যাবে। কলকাতার মেয়র হাকিমও সেই দাবি করেছিলেন। কিন্তু, শীত পড়েছে ঠিকই, তবে তাপমাত্রা এখনও সেভাবে ১৫ ডিগ্রির নিচে নামতে দেখা যায়নি। জানুয়ারির আগে গত ৫০ বছরে এরকম উষ্ণতম কলকাতা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাপমাত্রা বাড়ার ফলে ডেঙ্গিবাহী মশাও বংশবিস্তার করছে। ফলে কোনওভাবেই যাতে বাড়িতে জল জমা না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করছে পুরসভা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার ১৫ ডিগ্রির নিচে হলে ডেঙ্গির উপদ্রব কমে। কিন্তু তার বেশি হলে তা মশার বংশবিস্তারের আদর্শ পরিবেশ হয়ে ওঠে। ফলে জমা জায়গায় ডেঙ্গিবাহী মশা বংশবিস্তার করে থাকে। তাই কোনওভাবেই বাড়িতে জল জমতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে মশারা বংশবিস্তারের আদর্শ পরিবেশ পেয়েছে। টায়ার, শোলার বাক্স, জঞ্জালের জায়গায় কোনওভাবেই জল ফেলা যাবে না। সেই জলে মশা বংশবিস্তার করবে।’ প্রসঙ্গত নভেম্বর পর্যন্ত ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ছিল ডেঙ্গির। তবে ডিসেম্বর পড়তেই তাপমাত্রা কমেছে এবং সেই সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপও অনেকটা কমেছে। তবে আবারও তাপমাত্রা বাড়ায় ডেঙ্গি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তারা মানুষকে সতর্ক করছে পুরসভা।