রাত পোহালেই মহালয়া। অর্থাৎ পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের সূচনা হবে। তারপর কয়েকদিন পরেই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। তাই রাস্তাঘাটে নেমে পড়বেন রাজ্যের নাগরিকরা। এই আবহে অনেকেই গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুজো পরিক্রমা করতে বেরোবেন। সেই গাড়ি বেআইনিভাবে পার্কিং হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া এখন থেকেই বেআইনি পার্কিং শুরু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ কলকাতা পুরসভায় আসতে শুরু করেছে। যার জন্যই এবার কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে এই বেআইনি পার্কিংয়ের যে অভিযোগ আসছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র। এমনকী তার জন্য ব্যবস্থা নিতে মেয়র পারিষদ সদস্য পার্কিং এবং ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন বেআইনি পার্কিং যাতে শহরের বুকে না হয়। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিং সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগ আসছে। আমরা অভিযোগ পেয়েই পুলিশকে জানিয়ে দিই। এই বিষয়টি নিয়ে মেয়র পারিষদ সদস্য এবং ডিজি’কে বলে দিয়েছি। বেআইনি পার্কিং কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।’
কিন্তু সমস্যা না কমলে কী করবেন? এখন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে শহরের আনাচে কানাচে বেআইনি পার্কিং করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে মেয়রের কথায়, ‘বেআইনিভাবে কেউ পার্কিং নিচ্ছে জানতে পারলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও বেশি অ্যাকশন নিতে হবে। পার্কিংয়ের কাজ যাঁরা করেন তাঁদের উদ্যোগী হতে হবে। আর না হলে তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের পার্কিং বিভাগ সেটার খোঁজ নেয়। আমরা দুটি জায়গায় বেশি পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে আমাদের পার্কিং বিভাগ আগে গিয়ে খোঁজ নেবে।’
আরও পড়ুন: দিদির দূতের পর এবার আসছে ‘অভিষেকের দূত’, দুর্গাপুজোর আগে নয়া কর্মসূচি
আর কী বলেছেন মেয়র? এখন বর্ধিত পার্কিং ফি কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান মেয়র। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আমরা নতুন হারে পার্কিং ফি নিচ্ছি না। কারণ সরকার নিষেধ করেছে। কিন্তু বেশি পার্কিং ফি এবং বেআইনি পার্কিং নেওয়ার অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা এফআইআর করব এবং যে দায়িত্বে আছে তার কাছ থেকে জবাবদিহি নেওয়া হবে। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হহলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে বেআইনি পার্কিংয়ের সমস্যা দেবে সেখানে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ককে ইডি ডেকেছে। এই বিষয়ে মেয়রের জবাব, ‘প্যার কিয়া তো ডরনা কিয়া, তৃণমূল কিয়া তো এই সব হবেই।’