আজ কালীপুজোর দিনে বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে বাংলার দিকে। শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সিত্রাং। পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি প্রভাব না ফেললেও সিত্রাংয়ে ভাসতে পারে একাধিক জেলা। বৃষ্টি হতে চলেছে কলকাতাতেও। এই আবহে প্রস্তুত থাকছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতরকে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার।
জানা গিয়েছে, শহরের ৭৯টি পাম্পিং স্টেশনে ৪৩০টি পাম্প রয়েছে। বৃষ্টি হলে যাতে এই পাম্পগুলি ঠিকভাবে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাম্পিং স্টেশনের কর্তব্যরত আধিকারিকদের। এদিকে কালীপুজোয় ছুটি থাকার কথা হলেও বাতিল হয়েছে জরুরি দফতরের সব কর্মীদের ছুটি। দু’টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে পুরসভা। জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে নিচু এলাকায় জল জমলে, সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে তৈরি রাখা হয়েছে পুরসভার কমিউনিটি হল এবং পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে গাছ ভেঙে পড়লেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৃথক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ১৬টি বরোয়। এদিকে বৃষ্টির সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, এর জন্য সিইএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টি দফতরগুলিকে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, কালীপুজোয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। ওই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বর্ষণের (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) সম্ভাবনা আছে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা পরবর্তীতে বেড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিমিতে পৌঁছাতে পারে। ওই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।