শীতে জল কম লাগলেও গৃহস্থ বাড়িতে কাজের ক্ষেত্রে এবং পান করার ক্ষেত্রে জল লাগেই। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন পল্লীবাসী। কারণ কখন থেকে জল মিলবে না এবং কখন স্বাভাবিক হবে জল পরিষেবা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গার্ডেনরিচ জল পরিশোধন প্রকল্পের জল সরবরাহকারী পাইপগুলিতে ত্রুটি দেখা গিয়েছে। তাই সেগুলি মেরামত, নতুন ভালভ প্রতিস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বেশ কয়েকটি বুস্টার পাম্প মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এই কাজ চলাকালীন জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এদিকে এই বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি শনিবার গার্ডেনরিচ প্রকল্প থেকে বেহালা, রানিকুঠি, গড়ফা, কালীঘাট, চেতলা, বাঁশদ্রোণী, সেনাপল্লী, লালকা, পর্ণশ্রী বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সুতরাং ওইদিন নির্জলা থাকবে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ। তার প্রভাবে দক্ষিণ কলকাতায় শয়ে শয়ে বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে জলের। ফ্ল্যাট বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু গৃহস্থ বাড়িতে বা বস্তি এলাকায় যাঁরা থাকেন তাঁদের সেই ব্যবস্থা থাকে না।
অন্যদিকে এই মেরামতির কাজের জন্য উল্লেখ করা এলাকা ছাড়াও বড় অংশের বরো এলাকা প্রভাবিত হবে। ৮ থেকে ১৪ নম্বর বরোর সবকটি ওয়ার্ডে জল পরিষেবা সেদিন বন্ধ থাকবে। সুতরাং টালিগঞ্জ, যাদবপুর, চেতলা, বেহালা, গড়িয়াহাট, কসবা–সহ দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দারা শনিবার রাত পর্যন্ত জল পাবেন না। এই একটা গোটা দিন বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁদের জল সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা আছে তাঁদের ঠিক আছে। আর যাঁদের তা নেই তাঁদের ভাবতে হবে। তবে রবিবার ২৮ জানুয়ারি থেকে পরিস্থিতি জল পরিষেবার স্বাভাবিক হবে।
আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনৈতিকভাবে ঠুটো’, বর্ধমান থেকে সুর চড়ালেন মমতা
এছাড়া এই জল বন্ধ থাকার বিষয়টি এরিয়া ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগাম বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এই গোটা বিষয়ে জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গার্ডেনরিচ জল প্রকল্প থেকে জল সরবরাহের গতি বেড়েছে। উৎপাদন বেড়েছে। ফলে প্রকল্পের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। তাই মেরামতের কাজ করতে হয়। একটা দিন জল বন্ধ রেখে আমরা পুরো মেরামতের কাজের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। আগামী শনিবার তাই ত্রুটি মেরামতের জন্য জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। রবিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’