ভেঙে ফেলা হবে ৭০ বছরের পুরনো উত্তর কলকাতার বাগবাজার এবং কাশীপুরের সংযোগকারী ব্রিজ। ব্রিজটির অবস্থা ভাল না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল উপদেষ্টা কমিটি। সেই পরামর্শ মেনে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। আপাতত রাজ্যের অর্থ বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তারা, তার পরই ভাঙা কাজের নির্দেশ দেওয়া হবে।
ভাঙার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কেএমএডি-র আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সংস্থা বিবেকান্দ রোড ফ্লাইওভার ভেঙেছে তারাই চিৎপুর রেলওয়ে ওভার ব্রিজটি ভাঙবে। টেন্ডারের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সংস্থাটিকে নির্বাচন করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের অর্থ দফতরের অনুমোদন পেলেই ভাঙার কাজ শুরু হবে। এ কাজের জন্য ৭ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।
(পড়তে পারেন। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হচ্ছে এলিভেটেড করিডরের কাজ, সরানো হবে জবরদলকারীদের)
(পড়তে পারেন। সব থানাতেই থাকতে হবে সিসিটিভি, অকেজো হলে চলবে না: হাইকোর্ট)
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে খোলা হয় পুনর্নিমিত টালা ব্রিজ। ব্রিজটি বন্ধ থাকাকালীন এই রেলেব্রিজের পর চাপ বাড়ে। গাড়ি চলাচলের জন্য লকগেটের সঙ্গে এই ব্রিজটিকেও ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফলে রেলব্রিজটির অবস্থা আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই আর ফেলে রাখতে চাইছে না কেএমডিএ।
চিৎপুরে ওভার ব্রিজের লোহার কাঠামোতে মরচে ধরেছে। ডেক স্ল্যাবের নীচের অংশ খুলে গিয়েছে। ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ব্রিজটি। দুই লেনের এই ব্রিজে ক্যারেজওয়ে ৭.৫ মিটার চওড়া। এছাড়া দুপাশে ১.২ মিটার করে চওড়া ফুটপাথ রয়েছে। নীচে বসবাস করে ৩০টি পরিবার। তাঁদেরও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এই স্থানান্তরের বিষয়টি দেখবে। সেতু নিচ দিয়ে রেললাইন গিয়েছে। তাই রেলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই ভাঙার কাজ করা হবে।