বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় আসার বিমানের ককপিটে লেজারের আলো পড়ল। আর তার জেরে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের আগে বিপত্তি দেখা দেয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের আগে এই বিপত্তি দেখা দিলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ককপিটের লেজারের আলোর জেরে বিভ্রান্তি তৈরি হয় পাইলটের দৃষ্টিতে। যদিও পাইলটের তৎপরতায় অবশেষে সুরক্ষিতভাবে ১৬৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে বিমানটি অবতরণ করেছে। এই ঘটনা নিয়ে একদিকে আলোচনা শুরু হয়েছে অপরদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার। তখন ঘড়িতে সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা। বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা আসার পথে ইন্ডিগো ফ্লাইট ৬ই–২২৩ কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অ্যাপ্রোচ পথে কৈখালি এলাকা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে লেজার লাইট পড়তে থাকে। তাতে ককপিটে পাইলটের দৃষ্টিতে বিভ্রান্তি তৈরি করে। তখন পাইলট দ্রুত বিষয়টি এটিসির নজরে আনেন। আর যোগাযোগ করে পরিস্থিতি জানানো হয়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) তখন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়। এমনকী বিধাননগর কমিশনারেটকেও বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়। লেজার লাইট ককপিটে পড়ার জেরে পাইলটের সমস্যা হতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালির সমাধান হল আফস্পা’, এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে বড় পরামর্শ তথাগতর
অন্যদিকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। বিধাননগর কমিশনারেটকেও বিষয়টি নিয়ে কিছু করার কথা জানানো হয়। কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন থানাগুলিতে লেজার লাইটের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা রয়েছে। কিন্তু তারপরও লেজার লাইট ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এটা নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই সমস্যা জিইয়ে থাকলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ককপিটে লেজারের আলোয় চোখে পড়লে অন্ধকার দেখতে থাকেন পাইলটরা। দিকনির্ণয় করতে অসুবিধা হয়। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এছাড়া দুর্গাপুজোর সময় এই লেজার লাইটের জন্য বিমান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছিল বলে নালিশ করা হয়েছিল। তাই লেজার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর তার পর থেকেই নিষিদ্ধ করা হয় এখানে লেজার লাইট। কিন্তু তারপরও শুক্রবার সন্ধ্যায় যা ঘটল তা চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের। বারবার লেজার লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক করা হলেও মানুষের একাংশের যে হুঁশ ফেরেনি সেটা শুক্রবারের ঘটনা থেকেই প্রমাণ মেলে। লাইটটি কোথা থেকে আসছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।