কোভিড পরিস্থিতি চলার পর থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সমস্ত প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সেই সমস্যা থেকে বাদ যায়নি কলকাতা পুরসভাও। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে গত দু'বছরে পুরসভার আয়ের উৎসে প্রায় রুগ্ন দশা। অতিমারীর কারণে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে কমেছে কর সংগ্রহের পরিমাণ। বিশেষ করে সাফাইয়ের ফি আদায় প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় কর্মীদের বেতন মেটানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে সাফাই ফি আদায় করে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ। এর আগে অর্থাৎ তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এর আমলে লাইসেন্স বিভাগ ৫০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাফাই ফি আদায় করত। পরবর্তীকালে অর্থাৎ বর্তমান পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের আমলে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে। শহরে প্রায় কয়েক হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রয়েছে মিষ্টির দোকান এবং আরও বিভিন্ন ধরনের দোকান বা প্রতিষ্ঠান। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শহরের এরকম বহু প্রতিষ্ঠান।
তাদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে অনেক বেশি টাকা তাদের দিতে হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি পুরসভা। ফলে সেই নিয়ম এখনও রয়েছে। কিন্তু টাকার অংক বেড়ে যাওয়ায় নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে ফি বাবদ কোন টাকা দেয়নি শহরের প্রতিষ্ঠানগুলি। যার ফলে সাফাই ফি বাবদ পুরসভার কয়েক কোটি টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, এনিয়ে ফি আদায়ের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকেও কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে পুর কোষাগারের অবস্থা রুগ্ন থাকায় কিভাবে আয় বাড়ানো যায় তা চেষ্টা করছে পুরসভা। এর জন্য বিরোধীরা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে। যদিও পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দু'বছর ধরে দোকান-পাট বন্ধ ছিল। নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া অবদি ফি আদায় নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।