বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > KMC: ১২ বছরের পুরনো বাড়ি কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ তালিকায়! তৈরি হয়েছে বিতর্ক

KMC: ১২ বছরের পুরনো বাড়ি কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ তালিকায়! তৈরি হয়েছে বিতর্ক

কলকাতা পুরসভার মূল ভবন। ফাইল ছবি

একইভাবে ৩ নম্বর, ২৭ নম্বর, ৩১ এ এবং ৩১ বি নম্বর বাড়ি হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। ২৭ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের বাড়িটি ৪৭ বছরের পুরানো বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বাড়ির নতুন তালিকায় অনেক বাড়ি বা ফ্ল্যাট স্থান পেয়েছে যেগুলি আদৌও হেরিটেজ নয়। কলকাতা পুরসভার নতুন হেরিটেজ তালিকা নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় দেখা যাচ্ছে ২০১০-১১ সালে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হয়েছিল। সেই ফ্ল্যাটটি কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বাড়ির তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটে। কীভাবে এই সমস্ত বাড়ি হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার সমীক্ষা নিয়ে।

সাধারণত যে সমস্ত বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে বা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী রয়েছে সেই সমস্ত বাড়িগুলিকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে থাকে পুরসভা। এর পাশাপাশি অনেক পুরনো বাড়ির স্থাপত্যর বিশেষত্ব থাকলেও সেগুলিকে হেরিটেজ তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। কিন্তু, কলকাতা পুরসভার নতুন তালিকায় যেভাবে বহু নবনির্মিত ফ্লাট স্থান পেয়েছে তা অবিশ্বাস্য বলেই মনে করছেন অনেকেই। ১৯ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের একটি ফ্ল্যাট ২০১০-১১ সালে নির্মাণ হয়েছে। সেটি এখন পুরসভার হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদে কথায়, ২০১০-১১ সালে এই ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হয়েছিল। তার আগে সেখানে গেঞ্জি কারখানা ছিল। একইভাবে ৩ নম্বর, ২৭ নম্বর, ৩১ এ এবং ৩১ বি নম্বর বাড়ি হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। ২৭ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের বাড়িটি ৪৭ বছরের পুরানো বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ৩ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটের বাড়িটি যে জায়গায় রয়েছে সেখানে নুনের গোলা ছিল। ৩১ এ এবং ৩১ বি শোভাবাজার স্ট্রিটের দু'টি বাড়ি ৬০ এর দশকে তৈরি। তারপরেও সেগুলি কীভাবে হেরিটেজ তকমা পেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না বাসিন্দারা।

বিতর্ক তৈরি হতেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষ হেরিটেজ করার জন্য চিঠি দিয়ে থাকে। সেই অনুসারে আমরা তালিকা তৈরি করি। পরে হেরিটেজ কমিটির সদস্যরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেন।’ কী কারণে এরকম হল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বন্ধ করুন