কয়লাকাণ্ডে তদন্তে আরও গতি আনা প্রয়োজন বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এই মামলার তদন্ত করছে। অন্যতম সাক্ষী সুমিত রায়। তাকে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ না করতে পারায় কলকাতার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ইডি।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলার অন্যতম সাক্ষী সুমিত রায়কে এর আগে দু'বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, দু'বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর তাকে ইডির পক্ষ থেকে আর সমন পাঠান হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে।
মামলার সাক্ষী সুমিত রায়কে দুবার সমন পাঠানোর পরে আর কেন তাকে ডেকে পাঠায়নি? এই প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যোগ্যতা সংশয় প্রকাশ করছেন বিচারপতি। ইডির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট ইডিকে তদন্ত করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেয়নি। তাহলে কেন নিজাম প্যালেস বা অন্য কোনও জায়গায় সাক্ষী নেওয়া হচ্ছে না? ইডির তরফ থেকে বারবারই বা কেন তদন্ত শেষ করার জন্য সময় চাওয়া হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এদিন সুমিত রায়ের জামিনের মামলায় ইডিকে কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে তার রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়েছিল আদালত। এদিন আরও দুমাস তার রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে নামার পরে একাধিক ব্যক্তির নাম হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। যার মধ্যে অনেকে রয়েছে প্রভাবশালী। কিন্তু, সেই অর্থে ইডিপদক্ষেপ করছে না বলেই মনে করছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, ইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। তাদের দাবি, শুধু ভোটের আগে এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয় আর অন্যান্য সময় এরা নিষ্ক্রিয় থাকে।