ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে। আর পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে রাজ্য সরাকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই খুনের ঘটনা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল পানিহাটিতে? তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। গত ১৩ এপ্রিল অনুপম দত্তকে খুন করে আততায়ী হোগলা বনে আশ্রয় নিয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, শম্ভূ যে অনুপম দত্তকে সরানোর জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল তার আরও একটি প্রমাণ পাওয়া গেল ধনঞ্জয়ের গ্রেফতারিতে। ওই বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
তদন্তে নেমে কী মিলেছে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই খুনের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী দাবি করেছিলেন, ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। খুন হওয়ার দিন এক সঙ্গীর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন অনুপম দত্ত। সেখানে মাথার পিছনে তাঁকে গুলি করে পালায় আততায়ী।
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন এই ধনঞ্জয়। তাঁকে পটনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা ধনঞ্জয়কে জেরা করেন। শনিবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবার এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাতেই রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।