বাইরে ফিল ৪২ পরিস্থিতি। হাঁসফাঁস গরমে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্টাগত অবস্থা। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেলা ১২টার পর থেকে। কিন্তু যাঁদের বেরোতেই হচ্ছে তাঁরা টের পাচ্ছেন বৈশাখের এই দাবদাহ। বেশিরভাগ মানুষজনই এখন মেট্রো পথ ধরতে চাইছেন। তাই বাস ফাঁকা। মেট্রো রেলের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একটু দম নিতে চাইছেন মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে মেট্রো স্টেশনে গ্লুকোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মহানগরীর উত্তর–দক্ষিণ মেট্রোর প্রতি স্টেশনেই মিলছে গ্লুকোজ।
ঠিক কী ঘটছে মেট্রো স্টেশনে? মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, সব স্টেশনেই এই ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের এই প্রবল দাবদাহে কাহিল অবস্থা। এখন সব মেট্রো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হয়ে গিয়েছে। আর রোদে ঘামে ভিজে স্টেশনে টিকিট কাটার সময়ই গ্লুকোজ দেওযা হচ্ছে। যাতে মিলবে একদিকে এনার্জি অন্যদিকে স্বস্তি৷ তাপপ্রবাহের সময় এটি অত্যন্ত প্রয়োজন।
যাত্রীদের কী প্রতিক্রিয়া মিলছে? গরমে মেট্রো স্টেশনে ঢুকে গ্লুকোজ জল পেয়ে খুশি যাত্রীরাও। এই উদ্যোগ অভিনব বলে জানিয়েছেন অনেকে। অফিসযাত্রীরা বলছেন, এটায় অনেক উপকার হচ্ছে। আগে কখনও ঘটেনি। গলা দিয়ে ঠাণ্ডা গ্লুকোজ জল নামার সময় যেন স্বস্তি মিলছে। অনেকে টিকিট কেটে এই ঠাণ্ডা পানীয় গলায় ঢেলে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও জানাচ্ছেন।
এই তাপপ্রবাহ নিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই গরমে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। তাই শরীরে সোডিয়াম–পটাশিয়ামের ভাগ ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে গ্লুকোজ জল দারুণ উপকারী। শরীরে জলের ভাগ বেশি থাকলে এই পরিবেশের মোকাবিলা করা সম্ভব। ব্যাগে জল নিয়ে বেরোনোর পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।