চিনা মাঞ্জার বিপদ আবার কলকাতা পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই মাঞ্জার জেরে ফের পথ দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। একবছর ধরে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে। কিন্তু পুলিশের কথা কানে তোলেনি ওই সংস্থা। তার ফলে মা উড়ালপুলের বাকি বিপজ্জনক অংশে তারের জাল লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। আর এটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের অন্দরে। গরমে আবার ঘুড়ি ওড়ানো বেড়েছে মা উড়ালপুলে। তাই চিনা মাঞ্জার বিপদ কি বাড়াবে? আশঙ্কা পুলিশের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশটি তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল ‘কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (কেএমডিএ)। এরাই রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উড়ালপুলের ৯০০ মিটার অংশ তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশের আশঙ্কা বেড়েছে, চার নম্বর সেতু থেকে পার্ক সার্কাসের দিকের কয়েকশো মিটারের অংশ নিয়ে। কারণ, উড়ালপুলের ওই অংশ ফাঁকা। ঘুড়িতে চিনা মাঞ্জার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। পরমা আইল্যান্ডের দিকেও ফাঁকা রয়েছে। এই অংশ দুটিকে তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কথা বারবার বলা হলেও কাজ হয়নি। যা এখন অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য ঠিক কী? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ফাঁকা দুটি অংশে (পার্ক সার্কাস এবং পরমা আইল্যান্ড) তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চিঠি লেখা হয়। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কেএমডিএ–কে। কিন্তু তার পরেও কোনও কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্তা বলেন, ‘আকাশে ঘুড়ি উড়ছে দেখতে পেলেই চিন্তা বাড়ে। কারণ উড়ালপুলের ফাঁকা অংশে চিনা মাঞ্জার জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। এখন যদি ঘুড়ি ওড়ানো বাড়ে তাহলে চিন্তাও বাড়বে।’
ঠিক কী জানা যাচ্ছে কেএমডিএ থেকে? কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক চিঠি পেয়েছে কেএমডিএ। সে কথা স্বীকার করেছে কেএমডিএ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেএমডিএ’র এক কর্তা বলেন, ‘পুলিশের চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তবে নির্দেশ এলেই টেন্ডার ডেকে বাকি অংশের কাজ করা হবে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup