বেলেঘাটায় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে শাঁখের করাতে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলে তদন্ত চলে যেতে পারে NIA-র হাতে। আবার ক্লাবের প্রধান কর্তা রাজু নস্কর বিধায়ক পরেশ পালেন ঘনিষ্ঠ। তাঁকে গ্রেফতার করলে রাজরোষে পড়তে হতে পারে কর্তাদের। তাই তদন্তে আপাতত আইন বাঁচিয়ে সাবধানে পা ফেলছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তের পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল নামে ওই ক্লাবে বিস্ফোরক মজুত ছিল আগে থেকেই। মজুত সেই বিস্ফোরকেই মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণ হয়। যদিও ক্লাবের কর্মকর্তাদের দাবি, ২ ব্যক্তি এসে বাইরে থেকে বোমা মেরেছে।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সম্ভবত তৈরি বোমা মজুত রাখা ছিল ক্লাবের চিলেকোঠায়। তাতেই কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়। যেজন্য বিস্ফোরণ স্থলের আসেপাশে প্রচুর গন্ধক মিলেছে। মিলেছে স্প্লিন্টার। বাইরে থেকে বোমা ছুড়লে ঘরের ভিতর এত স্প্লিন্টার ঢোকা সম্ভব নয়।
ওদিকে ক্লাবটির সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ক্লাবের কর্তাদের পরিচিতি জানলে সেটিকে তৃণমূল পার্টি অফিস বললেও ভুল হয় না। ক্লাবের প্রত্যেক কর্মকর্তাই তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা। তার মধ্যে ক্লাবের সভাপতি রাজু নস্কর আবার বেলেঘাটার বাহুবলি তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের ঘনিষ্ঠ। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও প্রোমোটার রাজুর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন একাজে তাঁর সাগরেদ ভাই রবি।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যে FIR দায়ের হয়েছে তাতে ক্লাবের নাম থাকলেও নেই কোনও কর্মকর্তার নাম। পুলিশের দাবি, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। তাতেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, চুনোপুঁটি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও কি FIR করার ক্ষমতা নেই পুলিশের?
|#+|