রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সক্রিয় করোনা রোগী বর্তমানে আছে বাংলায়। এই আবহেই অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। যা চিন্তা বাড়িয়েছে বহু বিশেষজ্ঞের। মেলা বন্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে সর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে। আর এরপরই বাবুঘাটে গঙ্গাসাগরের ট্রানজিট ক্যাম্পে কড়া নজরদারি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।
বাবুঘাটে কলকাতা পুলিশের ক্যাম্পের থেকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে কোভিড বিধিনিষেধ মানার উপর। ক্যাম্পে থাকা সাধু, ভক্তদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে এখানে। পাশাপাশি স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার করার জন্য বারবার বলা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ময়দান থানার তরফে মেলার ট্রানজিট ক্যাম্পে এসে মাস্ক পরার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। মাস্ক নিয়ে মানুষের অনীহা দূর করতে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ নিজেই মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে মানুষকে।
শনিবার মাস্কবিহীন লোকেদের বাতে মাস্ক তুলে দিলেন ময়দান থানার অফিসার-ইন-চার্জ-সহ বাকি অফিসাররা। ‘মাস্ক কেন পরেননি’, পুলিশের এই প্রশ্নের মুখে পড়ে অনেকেই নানান অজুহাত দিচ্ছে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ যে এই অজুহাতে কর্ণপাত করবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের তরফে।
এদিকে এর আগে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পুরো মেলা নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ পরিস্থিতি খারাপ হলে ওই কমিটি মেলা বন্ধ করার নির্দেশও দিতে পারে৷ তিন সদস্যের কমিটিতে আছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিরোধী দলনেতা এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অথবা তাঁর নিযুক্ত প্রতিনিধি। বাংলার সাগর মেলা যাতে তবছরের কুম্ভ মেলার মতো ‘কোভিড স্প্রেডার ইভেন্ট’ না হয়, তার জন্য তত্পর পুলিশ প্রশাসনও।