কফি হাউজ নিয়ে অনেক বাঙালির মধ্যে বিশেষ আবেগ রয়েছে। গত সোমবার সেই কফি হাউসে আড্ডায় বসতে দেখা গেল তৃণমূলের ২ নেতাকে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একসঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন কফি হাউসে। আবার বহু মানুষের আবদারও মেটালেন।
রাজনীতির বাইরেও এই দুই নেতার আলাদা পরিচিতি রয়েছে। অনেকে যেমন ব্রাত্য বসুর নাটক পছন্দ করেন আবার অনেকেই তেমনি কুণাল ঘোষের লেখা পছন্দ করেন। তাঁদেরই একাংশের আবদার মেটালেন কুণাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসু। অনুগামীদের সঙ্গে কখনও সেলফি তুলে আবার কখনও বা অটোগ্রাফ দিয়ে আবদার মেটালেন এই নেতা। আবার অনেকেই বেশ কিছুক্ষণ তাদের কাছে এসে গল্পও করলেন। কেউ আবার নিজের লেখা বইও দেখালেন। শুধু তাই নয়, কফি হাউসে কর্মরত কর্মচারীরারাও তাঁদের সঙ্গে দেখা করে গল্প করেন।
অনেকেই ভাবছিলেন এই দুই নেতা হয়ত রাজনীতি নিয়েই আলোচনা করছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করার আলোচনা চলছিল বলেই অনেকে মনে করছিলেন। আবার অনেকেই মনে করছিলেন নাটক বা সিনেমা নিয়ে হয়তো তারা আলোচনা করছেন। কিন্তু, আসলে এরকম কিছুই নয়। আসল ব্যাপারটি হল কলেজে পড়ার সময় এই দুই রাজনীতিবিদ নিয়মিত কফি হাউসে আসতেন। সেখানে এসে তারা কোথায় বসতেন সে সমস্ত নিয়েই কার্যত নস্টালজিয়ায় ডুবে যান দুই নেতা। তবে তারা যে বিষয়টি নিয়ে অবাক হয়েছেন সেটা হল তারা দুজনেই কফি হাউসে আসতেন অথচ আগে দুজনের আলাপ হয়নি। মোটের উপর কেমন ছিল সেইসব দিনগুলো তা ভেবেই নস্টালজিয়ায় ডুবে যাচ্ছিলেন দু'জনে।