দু’দিন ধরে রাজ্যে পালিত হবে ছটপুজো। এই উপলক্ষ্যে গোটা সহরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল লালবাজার। ১৯ এবং ২০ নভেম্বর অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশকর্মী এবার নামানো হচ্ছে কলকাতায় বলে খবর। পুকুর এবং ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। তিলোত্তমার মোট ১৩৩টি জায়গায় ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেই জায়গাগুলিতে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে এই দু’দিন সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ।
এদিকে এই দুই সরোবরের গেটে পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা টাঙানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এদিন ঝোলানো হয়েছে। তাতে অনেকে খুশি না হলেও কিছু করার নেই কলকাতা পুরসভার। কারণ এই দুই সরোবর শহরের দুই প্রান্তের ফুসফুস হিসাবে কাজ করে। সেখানের জলে নোংরা বা আবর্জনা ফেললে তা দূষিত হবে। সেক্ষেত্রে জলে থাকা মাছ মারা যাবে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হবে। এই কারণে এখানে ছটপুজো করতে দেওয়া হয় না। আগে এখানেই হতো। কিন্তু তাতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়ায় দুই সরোবরে বন্ধ করা হয়েছে ছটপুজো। আর অন্যান্য জলাশয়ের সর্বত্র নিরাপত্তা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের পদস্থ অফিসাররা উপস্থিত থাকবেন।
অন্যদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, আগামীকাল ১৯ তারিখ সূর্যাস্তের পর ছটপুজো হবে। আবার ২০ তারিখ সূর্যোদয়ের আগে জলাশয়ে পুজো হবে। তাই ১৯ তারিখ সকাল থেকে শহরের নানা রাস্তায় পুলিশ প্রহরা বাড়ানো হবে। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সন্তোষ পান্ডে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩৫ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। তাঁদের অধীনে দায়িত্ব সামলাবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ইনস্পেক্টররা।’ আর সুভাষ এবং রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখতে ২০২২ সাল থেকে কড়া নিরাপত্তা রাখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ভাগ্যে ছিল তাই মারা গিয়েছে, রাস্তার জন্য নয়’, মালদার ঘটনায় সিদ্দিকুল্লার মন্তব্যে বিতর্ক
এই দুই সরোবরে আগে ছটপুজো উপলক্ষ্যে বাজি পর্যন্ত ফাটানো হতো। তাতে বায়ুদূষণ হতো। এমনকী নোংরা করে দিয়ে চলে যেত সকলে। পরিষ্কার পর্যন্ত করত না। ফলে অনেক সমস্যা দেখা দিত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দু’টি জায়গায় ২৫০ জন করে ফোর্স মোতায়েন রাখা হচ্ছে। যাতে গায়ের জোরে কেউ ঢুকতে না পারে। দুই সরোবরের সব দরজায় অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে। গোটা সরোবর ঘিরে রাখবে পুলিশ। পুজোর সামগ্রী যাতে কোনওভাবে লেকের জলে নিক্ষেপ না করা যায় সেদিকে নজর রাখবেন তাঁরা। সবমিলিয়ে ছটপুজোর সময় যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করছে লালবাজার। তাই অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ রাস্তায় নামছে।