স্কুল সার্ভিস কমিশনে কতজন ভুয়ো নিয়োগ পেয়েছেন তা জানতে মামলাকারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে পর্ষদের আইনজীবীদের বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতোই বুধবার মামলাকারীদের আইনজীবী বৈঠক করলেন পর্ষদের আইনজীবীদের সঙ্গে। তাদের মধ্যে বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে।
শূন্য পেয়েও শিক্ষকের চাকরি? কতজন ভুয়ো নিয়োগ, বৈঠকে বসবে SSC
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠক কী হয়েছে আগামী ১৬ নভেম্বর তা জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও কতজন ভুয়ো নিয়েপত্র পেয়েছেন সেই প্রকৃত সংখ্যাটা এসএসসির তরফ থেকে এখনও জানানো যায়নি। তবে এর আগে ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার সঙ্গে এসএসসির তালিকা মিলিয়ে দেখা হবে।
গ্রুপসি, গ্রুপ ডি, নিয়োগ, নবম ও দশম শ্রেণি, একাদশ, দ্বাদশে ভুয়ো নিয়োগে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরেই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই আদালতে যে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, কেউ হয়তো বাস্তবে ০, ১ অথবা ৩ কিংবা ৫ পেয়েছিলেন। কিন্তু তারাও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এসএসসির সার্ভার রুম থেকে এমন তিনটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, সার্ভারেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক ওএমআর শিট সাদা পাওয়া গিয়েছে। অথচ সেখানেও প্রার্থীকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা জানার জন্যই উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বৈঠকে বসতে বলেছিলেন বিচারপতি।