সিঙ্গুরে বহু ফসলী জমিতে টাটার কারখানা করা নিয়ে যিনি সবথেকে বেশি বিরোধিতা করেছিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বাংলার মসনদে। তাঁর আমলেই এবার বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা পাঁচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিনসিংহ কোলব্লকে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। তবে কার্যত সিঙ্গুর থেকে শিক্ষা নিয়ে অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের পুনর্বাসন নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ যেভাবে হয়েছিল সেভাবে এখানে হবে না। শুরুর দিকে সরকারের নিজস্ব এক হাজার একর জমিতে কাজ হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০০ বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও অভাব হবে না। বিদ্যুতের দামও কমবে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিঙ্গুরে বহু ফসলী জমিতে টাটার কারখানা করা নিয়ে যিনি সবথেকে বেশি বিরোধিতা করেছিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বাংলার মসনদে। তাঁর আমলেই এবার বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা পাঁচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিনসিংহ কোলব্লকে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। তবে কার্যত সিঙ্গুর থেকে শিক্ষা নিয়ে অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের পুনর্বাসন নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ যেভাবে হয়েছিল সেভাবে এখানে হবে না। শুরুর দিকে সরকারের নিজস্ব এক হাজার একর জমিতে কাজ হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০০ বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও অভাব হবে না। বিদ্যুতের দামও কমবে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
|#+|
এদিকে পুনর্বাসনের প্যাকেজের কথাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এজন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। যে ব্যক্তির ওই এলাকায় বাড়ি সহ জমি রয়েছে তাঁদেরকে বিঘা প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি স্থানান্তরের জন্য, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ও গবাদি পশুর থাকার চালা তৈরির জন্য আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এর সঙ্গেই আরআর কলোনিতে ৬০০ বর্গফুটের একটি বাড়ি তাঁদের দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে প্রতি পরিবার থেকে একজনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। এজন্য পদ রয়েছে ৪ হাজার ৯৪২টি। পাশাপাশি হাজার তিনেক ক্রাশার শ্রমিকের জন্য থাকছে ১ লাক ২০ হাজার টাকা করে। ১৬০জন কৃষি শ্রমিককে এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও ১০০ দিনের কাজের হিসাবে ৫০০ দিন কাজ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত ওই এলাকায় কয়লা ও ব্যাসল্টর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এলাকায় ১২টি গ্রামে ৮৩১৪ বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করেন।