খাস কলকাতায় চিতাবাঘের চামড়া–সহ ধরা পড়ল দুই চোরাশিকারী। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। টালিগঞ্জে চিতাবাঘের চামড়া–সহ দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করলেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ক্রেতা সেজে দর করার পর টোপ দিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃতদের নাম শঙ্কর মাহাত ও পিন্টু মাহাত। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই। বাড়ি হরিদেবপুরের সুকান্তপল্লিতে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতায় চিতাবাঘের চামড়া চোরাচালান হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানতে পারেন। রাজ্য বনদপ্তরের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট (ডব্লুসিসিইউ) ও কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর (ডব্লুসিসিবি) আধিকারিকরা চোরাকারবারিদের উপর নজরদারি শুরু করেন। ভুয়ো ক্রেতা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা ওই চামড়া বিক্রির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাম চেয়েছিল। আধিকারিকরা প্রথমে ছ’লক্ষ টাকা দাম দিয়েছিলেন। দর কষাকষির পর দুই ভাইকে টালিগঞ্জের আইটিআই কলেজ লাগোয়া এলাকায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে কেন্দ্র–রাজ্য বনদপ্তরের আধিকারিকরা সাদা পোশাকে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে দু’জন চিতাবাঘের চামড়া নিয়ে ওই জায়গায় এলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বনদপ্তরের আধিকারিকরা চিতাবাঘের চামড়া দেখে নিশ্চিত হয়েছে যে, এটা বেশ কয়েক বছরের পুরনো। তবে ওই পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের চামড়া কোথা থেকে তারা এনেছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর পূর্বাঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্নি মিত্র বলেন, ‘পিন্টু মাহাত ও শঙ্কর মাহাতো নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে। দু’জনেই হরিদেবপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।’
প্রাথমিক জেরায় দুই ভাইয়ের দাবি, এই চামড়া কোথা থেকে আনা হয়েছে, তা তারা জানে না। তারা কলকাতায় এনেছিল বিক্রির জন্য। তবে ধৃতরা যার থেকে চামড়া কিনেছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বনদপ্তর। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য বনদপ্তরের দুটি টিম বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।