স্কুল থেকে দূরে থাকার জেরে অক্ষরজ্ঞান হারিয়েছে বহু পড়ুয়া। তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে মাধ্যমিকের খাতায়। এর জেরে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। একেক জনের একেক ধরনের অক্ষর চিনতেও নাজেহাল অবস্থা পরীক্ষকদের। অনেকেই বাংলা হরফ পুরোটাই ভুলে বসেছে। উত্তরপত্রে যে কোন ভাষায় লেখা, তাই বুঝতে পারছেন না শিক্ষক। এহেন বহু খাতা পরীক্ষকদের দেখতে হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। করোনা আবহে দুই বছর স্কুল বন্ধের যে কী বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পড়ুয়াদের তারই উদাহরণ এই সব খাতা।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধের পরে অনেক পড়ুয়াই মৌলিক অক্ষরগুলোও মনে রাখতে পারেনি। অনেকে নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারে না। খুব সামান্য শব্দেরও হাস্যকর সব বানান লিখেছে অনেকে। তবে এর দোষ পড়ুয়াদের নয়। করোনা আবহে স্কুল বন্ধের সময় অনেক পড়ুয়ার কাছেই স্মার্ট ফোন ছিল না। কোনও প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ার সামর্থও ছিল না অনেকেরই। এই আবহে অক্ষরজ্ঞান ভুলেছে অনেকেই। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। পড়ুয়াদের লেখার পাঠোদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে অনেকের।
আরও পড়ুন: ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটছে এমন! ৩ মাসে ৩ জন প্রধান বিচারপতি পেতে চলেছে SC
শিক্ষকদের একাংশের মত, দীর্ঘদিন অভ্যাস না থাকায় লিখতেই ভুলে গিয়েছেন অনেক পড়ুয়া। কেউ আবার কয়েকটি অক্ষর মনে করতে পারেনি। কেউ কেউ আবার বাংলা হরফটাই ভুলে বসে আছে। এই পরিস্থিতির কথা পর্ষদকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষকরা। এর আগে স্কুল খোলার পরও দেখা গিয়েছিল যে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারাও ‘A, B, C, D’ বা ‘অ, আ, ক, খ’ ভুলেছে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় মারাত্মক পিছিয়ে পড়েছে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। অতিমারিতে ‘লার্নিং গ্যাপ’ বা ‘শিক্ষা-ফাঁক’ তৈরি হবে, সেই শঙ্কা ছিলই বিশেষজ্ঞদের মতে। সেই শঙ্কাই সত্যি হচ্ছে ধীরে ধীরে।