অস্ত্রোপচারের পর গৃহবন্দি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে সপ্তাহের কাজের দিনে তৃণমূলের ছাত্র-যুব কর্মশালা যেন ভাঙা মেলা। সেখানেই নিজের ছাত্রজীবনের নানা কাহিনী বলে শ্রোতাদের তাতানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, কী ভাবে ছাত্ররাজনীতি করে সফল হয়েছেন তিনি। স্বীকার করলেন ছোটবেলায় করা ভুলও।
মমতা এদিন বলেন, আমি যখন যোগমায়া কলেজে ভর্তি হই তখন টানা ১৬ বছর সেখানে ডিএসও-র ইউনিয়ন। আমি ভেঙে দিয়েছিলাম। রোজ আমাকে বোঝাতো ডিএসও কত ভাল। কিন্তু আমার মধ্যে একটা জাতীয়তা বোধ ছিল। রোজ ভোর ৪টেয় বাড়ি থেকে বেরোতাম। ফিরতাম রাত ১২টায়। আমার বিরুদ্ধে কেউ ভোটে দাঁড়াত না। জানত, দাঁড়ালে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির কাছে যে তিনি ধমক খেয়েছিলেন এদিন তাও স্বীকার করেন মমতা। বলেন, একদিন সুব্রতদা ডেকে পাঠালেন। বললেন, শুনলাম তোরা নাকি কলেজে খুব মারামারি করছিস। করিস না। সংসদে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রিয়দা জানতে চাইলেন মারপিট করছিস কেন? আমি বললাম, যারা মারপিট করে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে।
বলেন, একবার সিপিএমের গুন্ডারা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া করেছিল। কী ভাবে পালিয়ে বেঁচেছিলেন তা এদিন ছাত্রদের বলেন মমতা। ছাত্র রাজনীতির একটাই মন্ত্র, কমিটমেন্ট। এই মন্ত্র শিরোধার্য করে আগামী ২ বছর ছাত্রদের কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন ছাত্রজীবনের ভুলের কথা স্বীকার করেন মমতা। বলেন, ‘সেই সময় একটা ভুল করেছিলাম। আপনারা সেই ভুল করবেন না। একবার মনোনয়ন নিয়ে গোলমালের জেরে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করেছিলাম। আমরা বনধ ডাকলে কলেজের চাবি ছিনিয়ে নিতাম।’
তবে সমসাময়িক বিষয় নিয়েও বলতে ভোলেননি তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘দেশে কে চিঁড়ে খাবে সেটা বিজেপি ঠিক করবে না কি? এরা পোশাক দেখে জাত চেনে। খাবার দেখে জাত চেনে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মাটি ভাগাভাগি হতে দেব না।’