শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির খবর সম্প্রচার করায় সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বিরোধী দলগুলিকে আলকাতরা ছোড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। সোমবার বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের গুণীজন সমাবেশের মধ্যেই চাপের মুখে সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের কুৎসিত আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি ট্যাঁ ফু করবেন না। আমার ছবি নিয়ে ছবি তুলছেন। আমি পুজোয় যাই। পুজোয় যদি স্টেজে অর্গানাইজাররা কাউকে ডেকে রাখে। আমি যদি না চিনি। হোয়াট ক্যান আই ডু? কে কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তার দায়িত্ব আমার? তার মানে আমরা রাস্তায় হাঁটব না? তার মানে কি আমি পুজো প্যান্ডেলে যাব না? তার মানে আমি কারও বাড়ি যাব না’?
মমতার দাবি, ‘যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয়, তৃণমূল কংগ্রেস কেয়ার করে না। আমি নিজের ছেলেদের অ্যারেস্ট করিয়েছি অনেকগুলো। অন্যায় করলে আমি নিজের MLA, MP-দেরও স্পেয়ার করি না। মিনিস্টারকেও ছেড়ে কথা বলি না। অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করলে আলকাতরা আমার হাতেও আছে। ওয়াশিং মেশিনে আলকাতরা কখনও পরিষ্কার হয় না’।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁর ছবি নিয়ে প্রচার করায় বিরোধী দলগুলিকেও কটূ ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘আমার ছবি দিয়ে টাকার পাহাড় দেখিয়ে সারা কলকাতায় যে প্রচার ছড়িয়েছে সিপিএম আর বিজেপি। তাদের এত বড় ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কার! আমি যদি রাজনীতি না করতাম আমি আজ জিভটা কেটে ফেলতে পারতাম’।
তাঁর দাবি, ‘আমি কারও পয়সায় খাই না। আরে আমি বই লিখি। আমার ১২০টা বই বেরিয়ে গেছে। বইয়ের রয়্যালিটি থেকে গানে সুর দিয়ে আমার উপার্জন হয়। আমার অনেকগুলো বই বেস্টসেলার। আমি যা বইয়ের রয়্যালিটি পাই, অনেকেই পায় না’।
সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রশ্ন, ‘কোনও সংবাদমাধ্যম বলতে পারবে তারা খুব আইন মেনে চলে? আমরা তবু আইন মেনে চলি’।