বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘গ্রন্থাগারে অনুদানের নামে সরকারি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাচার হচ্ছে’

‘গ্রন্থাগারে অনুদানের নামে সরকারি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাচার হচ্ছে’

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

বিকাশবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী বা তার অন্য কোনও মন্ত্রীর বই সরকারি টাকায় কিনতে বলতে পারে না সরকার। এটা স্পষ্ট স্বার্থের দ্বন্দ ঘটছে। ঘুরপথে সরকারি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার করা হচ্ছে।

গ্রন্থাগারে অনুদানের নামে সরকারি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার হচ্ছে। এটাও একটা বিশাল বড় দুর্নীতি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে চলছে।

এদিন বিকাশবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় দাবি করেন তাঁর লেখা বই বেস্ট সেলার। বই বিক্রির রয়্যালিটি দিয়েই তাঁর সংসার চলে। এই পুরো জিনিসটাই একটা দুর্নীতি।

তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার দফতর রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে আগে বইয়ের তালিকা পাঠিয়ে দেয়। সেই তালিকায় থাকে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বই। এর পর গ্রন্থাগারকে দেওয়া হয় বই কেনার জন্য অনুদানের টাকা। সেই টাকা দিয়ে তালিকা মিলিয়ে আগে মুখ্যমন্ত্রীর বই কিনতে হয় গ্রন্থাগারকে। তার পর টাকা অবশিষ্ট থাকলে তবে তারা ইচ্ছা মতো অন্য বই কিনতে পারে।

বিকাশবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী বা তার অন্য কোনও মন্ত্রীর বই সরকারি টাকায় কিনতে বলতে পারে না সরকার। এটা স্পষ্ট স্বার্থের দ্বন্দ ঘটছে। ঘুরপথে সরকারি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার করা হচ্ছে। এই নিয়ে তৃণমূলেরই প্রাক্তন বিধায়ক দীপক ঘোষ কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন। সেই মামলায় আদালত সরকারকে হলফনামা দিতে বলেছিল।

বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার খিদিরপুরে মধুসূদন লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং, এই যদি কবিতার প্রথম লাইন হয় কেউ পড়বে?’ সরকারি গ্রন্থাগারে বইয়ের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সব অখাদ্য জিনিস গ্রন্থাগারে রাখবেন না। সরকারি তালিকা অনুসারে বই কিনলে তবেই সরকারি অনুদান পাওয়া যায়।’

 

বন্ধ করুন