ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে পথে নেমেছেন দেশের তাবড় কুস্তিগীররা। অলিম্পিক পদকজয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী ভিনেশ ফোগাটরা যন্তর মন্তরে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ধরনায় বসে আছেন। এই আবহে এবার তাঁদের সমর্থনে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় মমতা লেখেন, ‘আমাদের সকলরই প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাঁরা সবাই সরব হয়েছেন। আমাদের ক্রীড়াবিদরা আমাদের দেশের গর্ব। তাঁরা চ্যাম্পিয়ন। রাজনৈতিক যোগ নির্বিশেষে দোষীদের আইনের আওতায় শাস্তি দিতে হবে। ন্যায়বিচারকে প্রাধান্য দিতে হবে। সত্যের জয় হবেই।’
এদিকে এই ইস্যুতে আগেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রধান তথা প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষাকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, পথে নামা কুস্তিগীরদের তোপ দেগেছিলেন পিটি ঊষা। 'ট্র্যাকের রানি' পিটি ঊষা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, 'যৌন হেনস্থার জন্য ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার একটি কমিটি রয়েছে। আমাদের কাছে না এসে তাঁরা আবার রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের আমাদের কাছে আসা উচিৎ ছিল। তবে তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই করেনি। তাঁদের একটু তো শৃঙ্খলা বোধ দেখানো উচিৎ ছিল। এটা খেলার জগতের জন্য ভালো নয়। তাঁরা দেশের সম্মান মাটিতে মেশাচ্ছেন।'
পিটি ঊষার এই অভিযোগের জবাবে মহুয়া মৈত্র টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘এতবছর ধরে কুস্তি ফেডারেশেনের সভাপতি থাকা শাসক দলের সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও দিল্লি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। এর ফলে দেশের থেকে গোলাপের সুগন্ধ বেরোচ্ছে? হামাগুড়ি দেবেন না।’ এদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও পিটি ঊষার সমালোচনা করেন। অপরদিকে পিটি ঊষার মন্তব্যের জবাবে আজ সকালে মুখ খুলেছেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। তিনি বলেন, 'পিটি ঊষা আমাদের একজন আইকন। তাঁর মন্তব্যে আমরা মর্মাহত। আমি তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, তাঁর অ্যাকাডেমি যখন ধ্বংস করা হচ্ছিল এবং তিনি তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন, তাহলে কি তখন তিনিও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছিলেন?'