পেগাসাস 'হ্যাক' বিতর্কের মধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশে বললেন, ‘অনেক গদ্দার আছেন, যাঁরা মুখে মুখে বড় কথা বলছেন। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছেন।'
বুধবার পেগাসাস 'হ্যাক' নিয়ে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। পরে বলেন, ‘বাংলায় এখনও আমাদের অনেক কাজ বাকি আছি। আমরা যে নির্বাচন পেরিয়ে এসেছি, আমরা অনেক শিক্ষা পেয়েছি। যাঁরা গদ্দারি করেছেন, সেই গদ্দারদের মনে রাখবেন। অনেক গদ্দার (পড়ুন শুভেন্দু) আছেন, যাঁরা মুখে মুখে বড় কথা বলছেন। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছেন। এই গদ্দারদের একদিন রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবেন। এটা আমি বিশ্বাস করি। আর বিজেপিতে গদ্দারদেরই জন্ম হয়।’
সেই বিতর্কের মধ্যেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘আমি আইসি, ওসি, এবং ওসির ভূমিকার তদন্তের জন্যে সিবিআইয়েরর তদন্তের দিকে যাচ্ছি। তাহলে বুঝতে পারবেন, তখন কিন্তু পিসিমণি, চটিমণি কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা আপনাকে ফোন করে, আমার কাছে প্রত্যেকটা কল রেকর্ড, ফোন নম্বর আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।’ শুভেন্দুর সেই মন্তব্যকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছে তৃণমূল।
যদিও পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন দুই শীর্ষ মন্ত্রী। পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্য ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। তার আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার ওই প্রতিবেদনগুলিকে ‘মাছ ধরার অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করে। সঙ্গে জানায়, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’