পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার ঘাটগুলিতে দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তারপরেই রাজ্যের সমস্ত গঙ্গার ঘাটগুলিকে প্লাস্টিকের বর্জ্যমুক্ত করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। কীভাবে গঙ্গার ঘাটগুলিকে প্রতিনিয়ত প্লাস্টিকের বর্জ্যমুক্ত করা যায়? তা নিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্ন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠকে এবিষয়ে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গঙ্গা দূষণ রোধে মাস্টার প্ল্যানের পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে KMDA
এই সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছিল রাজ্য সরকারকে। ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা কর্তৃপক্ষও নিজেদের রিপোর্টে গঙ্গা দূষণ হিসেবে ঘাটগুলিতে যথাযথ আবর্জনা পরিষ্কার না করার কথা জানিয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। তার আগে গত মাসে মুখ্য সচিব জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই ২৪ পরগনার জেলা শাসকরা। কারণ জেলা শাসকরাই হলেন ডিস্ট্রিক্ট গঙ্গা প্রটেকশন কমিটির চেয়ারম্যান। বৈঠকে ঠিক হয়েছে গঙ্গার ঘাটগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে এবং জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। এছাড়া শিল্পবর্জ্য, নির্মাণ বর্জ্য গঙ্গায় কীভাবে মিশছে তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতা ও অন্যান্য পুরসভা, ডিস্ট্রিক্ট গঙ্গা প্রটেকশন কমিটির চেয়ারম্যানদের পরিবেশ দফতরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। মূলত গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা জানাতে বলা হচ্ছে রিপোর্টে।
যদিও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অভিযোগ, নিয়মিত গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করা হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে গঙ্গা পরিষ্কার থাকে। যদিও গঙ্গার ঘাট নিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে পরিবেশ আদালত। আদালতের মতে, পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার ঘাটগুলির অবস্থা বর্ণনা করার মত নয়। গঙ্গায় শুধু পুজো বা স্নান করা হয় না গঙ্গা হল কলকাতার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে ঘাটের এই অবস্থা মোটেই মানা যায় না। বিশ্বের অন্যান্য ঘাটের তুলনায় গঙ্গার ঘাটের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে মুখ্য সচিবের নির্দেশের ফলে গঙ্গা কতটা পরিষ্কার থাকে সেটাই দেখার।