হাতে মাত্র চারদিন। তারপরই দেশে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হবে। আর ওই দিনেই মাওবাদী হামলার ছক কষা হয়েছে বলে খবর। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, এই হামলায় নিশানা করা হবে শাসকদলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। সম্প্রতি মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।
কেন এমন হামলার সিদ্ধান্ত? গোয়েন্দাদের দাবি, শীর্ষ নেতা কিষানদা–কে গ্রেফতার করার প্রতিশোধ নিতেই এই পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে মাওবাদীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাতে চিন্তা আরও বেড়েছে। তাই সতর্ক করা হয়েছে জঙ্গলমহলে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও।
একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও মাওবাদীরা ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। এই খবর পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাঁদের হাতে এসেছে লিফলেট থেকে অন্যান্য নথি। ইতিমধ্যেই মাওবাদীদের পক্ষ থেকে কিষানদার গ্রেফতারের প্রতিবাদে ২৭ জানুয়ারি বিহার–ঝাড়খণ্ড বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মাওবাদীরা ২৬ জানুয়ারি বড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। সেই পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে নেতা–বিধায়ক–সাংসদদের উপর আক্রমণ। এমনকী ট্রেনের উপর হামলা। তাই সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মাওবাদীদের পলিটব্যুরো সদস্য তথা পূর্বাঞ্চলের মাথা কিষানদা গ্রেফতারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তারা। তাই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
রেল পুলিশকে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম–গিধনি, খড়্গপুর–আদ্রা, পুরুলিয়া বিরামডিহি, পুরুলিয়া–মুড়ি, ঝালদা–বোকারো এবং সিউড়ি–অণ্ডালের মতো রুটে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে। এই সতর্কবার্তায় রাজ্যের শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার জোর দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কোন পথে হামলা করে মাওবাদীরা।