ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ মেডিক্যাল রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ২০ পাতারও বেশি রিপোর্ট তৈরি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকটাই সময় লেগে যায়। শুধু তাই নয়, তড়িঘড়ি এই রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে কোনও ভুল হলে সেক্ষেত্রে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে রিপোর্টপত্রের কাঠামো পরিবর্তন করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে খসড়া জমা পড়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরে সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে খসড়াটি গৃহীত হয়েছে। ৩ সদস্যের একটি কমিটির গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি রিপোর্টপত্রের কাঠামো চূড়ান্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের ডিরেক্টর অফ চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিকিংয়ের কর্তা নীলাঞ্জনা দাশগুপ্ত বলেন, রিপোর্ট তৈরির কাঠামো ছোট এবং সুসংহত হলে সে ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে তদন্ত অনেকটাই দ্রুত শেষ হবে স্বাস্থ্য দফতর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
২০১৪ সালে রিপোর্টপত্রের কাঠামো নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেই নির্দেশিকা মেনে কমপক্ষে ১৬ পাতার রিপোর্ট জমা দিতে। কিন্তু, চিকিৎসকদের বক্তব্য যা কাঠামো সেক্ষেত্রে তার দ্বিগুণ পাতার রিপোর্ট তৈরি করতে হয়। সেই কাঠামো দুপাতায় নামিয়ে আনতে খসড়া তৈরি করেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক সোমনাথ দাস। তিনি জানান, যে কাঠামো বর্তমানে রয়েছে তাতে রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে অনেকটাই সময় লেগে যায়। তাই রিপোর্ট পত্রের কাঠামো বদলের ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। নিয়ম অনুযায়ী, রিপোর্ট তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট থানা বা তদন্তকারী অফিসারকে জমা দিতে হয়। কম সময়ে যাতে সুসংহত রিপোর্ট তৈরি করা যায় খসড়াতে সেই বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।