নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সমাধানের জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি মোদী সরকার। সোমবার কেন্দ্রকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি নেতাজি ট্যাবলো দিন্নির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ পড়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত শুরু হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে নেতাজির ট্যাবলো বাদ পড়া প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানান, ‘নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল, একটাও করেনি কেন্দ্র। মুখার্জি কমিশন যখন বলে দিয়েছিল, রেনকোজির মন্দিরের চিতাভস্ম নেতাজির নয়, তখন পরে তাঁর কোনও তদন্ত হল না কেন? দেশের মানুষের সামনে কেন সব ফাইল আনা হচ্ছে না।’ একইসঙ্গে নেতাজিকে কেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক জানান, ‘১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার ঘোষণা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু তাঁকে সম্মানের জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি মোদী সরকার। কেন সুভাষচন্দ্র বসুকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়া হল না?’
গত ২৩ জানুয়ারি ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি অমর জওয়ান জ্যোতিও নিভিয়ে দেওয়া হয়। অমর জওয়ান জ্যোতি নিভিয়ে দেওয়া নিয়ে কুণালবাবু জানান, ‘ভারতের ইতিহাসে বাংলাদেশ যুদ্ধ অন্যতম কৃতিত্বের দাবি রাখে। এর মাধ্যমে ভারতবর্ষ একটা নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের নিয়ে কী অসুবিধা হচ্ছিল? আসলে ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’