পাটুলি ও রুবির মধ্যে যান চলাচল আরও মসৃণ এবং নিরাপদ করতে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসতে চলেছে। এর পাশাপাশি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অতিরিক্ত ডিসপ্লে বোর্ডও বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কেবল লাগানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি পুলিশকে দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে সাহায্য করার পাশাপাশি দ্রুতগতির যানবাহনগুলিকে ট্র্যাক করতে সহায়তা করবে৷
সাধারণত পাটুলি থেকে রুবি পর্যন্ত ৯.১ কিলোমিটার রাস্তা। এই অংশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মেট্রো স্টেশন। সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে বেশি সংখ্যায় সিসিটিভি থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে মেট্রোর নির্মাণ কাজের জন্য বাইপাস থেকে কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য ডিভাইস সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এখন সেখানে মেট্রোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই রুটে মেট্রো চলার জন্য প্রস্তুত। ফলে এই অংশে পুরনো সিসিটিভিগুলি পুনরায় বসানো হবে। পাশপাশি আরও নতুন কিছু সিসিটিভি বসানো হবে। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা সম্ভব নাও হতে পারে। সিসিটিভির ওপরেই আমাদের নির্ভর করতে হবে।’
এর পাশপাশি ট্রাফিক পুলিশ রুবির সংযোগকারী-রাজডাঙ্গা মেইন রোড ক্রসিং এবং শান্তিপল্লী ক্রসিংয়ে থাকা পথচারীদের রাস্তা পারাপার করার জায়গাটিও সরানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ওই ক্রসিং থেকে ৫০ মিটার দূরে সেগুলি সরানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাইপাসে পথ দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ হলেন পথচারী বা বাইক আরোহী। যদি রাস্তার ডিভাইডারগুলি স্থায়ী বা যথেষ্ট শক্তিশালী না হয়, তাহলে মেট্রো যাত্রীদের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে রাস্তা পারাপার করার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালবাজারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ডায়মন্ড হারবার রোডে আমাদের একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। রাস্তার মাঝখানে মেট্রো স্টেশন তৈরি হওয়ার পরে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সেখানে ডিভাইডার তৈরি করার পর দুর্ঘটনা কমে গিয়েছে। আমরা আশা করি এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য মেট্রো স্টেশনের কাছে ডিভাইডারগুলি তৈরি করা হবে।’