এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খুনের হুমকি চিঠি পাঠানো হল। এই চিঠি গিয়েছে খাস কলকাতা থেকে। সেই চিঠিতে ২০০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। যা না পেলে খুনই করা হবে শাহকে বলে উল্লেখ রয়েছে। সূত্রের খবর, এই হুমকি চিঠি যিনি দিয়েছেন তিনি বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতাও। তাই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে। সেখানের এক বিশেষ সূত্রে এই খবর মিলেছে।
কেমন সেই চিঠির ধরণ? সূত্রের খবর, এই চিঠিটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। আবার চিঠিটি কম্পিউটারে টাইপ করা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতার লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘর থেকে স্পিড পোস্ট মারফত নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠিটি পাঠানো হয়। অমিত শাহের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘২০০ কোটি টাকা দিন। টাকা না পেলে আপনাকে খুন করা হবে। সেটার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ এই চিঠির বিষয় সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কে পাঠাল এমন চিঠি? এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারা তথ্য পেয়েছে, কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি এবং বিশপ পরিচয়ের অন্য একজনের নাম করে এই হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এই দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছে। তাতেই তাঁরা নিশ্চিত যে, হুমকি চিঠির নেপথ্যে এই বিশপ বা সংখ্যালঘু ব্যক্তির কোনও যোগ নেই। এই হুমকি চিঠিকে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই দু’জনের নাম জড়ানো হয়েছে।
কে বা কারা খুনের হুমকি চিঠির নেপথ্যে? প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি বহুতল নিয়ে বাড়িওয়ালা–ভাড়াটের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। এই হুমকি চিঠির নেপথ্য কারণ এটাই বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়িওয়ালা একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ব্যক্তিকে ঘরভাড়া দিয়েছিলেন। ভাড়াটিয়া ব্যক্তিটি কয়েক বছর আগে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে তাঁর ঘরে অন্য একজনকে ঢুকিয়ে দিয়ে যান তিনি। এখান থেকেই বিবাদের সূত্রপাত। তাতেই রেগে যান বাড়িওয়ালা। দুই ভাড়াটেকে শিক্ষা দিতেই তাঁদের নাম ব্যবহার করে অমিত শাহকে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তার ফলে নাম জড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা বিপাকে পড়ে যান। মিলিটারি ইন্টিলিজেন্স, এনআইএ, এসআইবি, এসটিএফের মতো গোয়েন্দাদের জেরায় নাকালই হতে হয়েছে তাঁদের। যদিও সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।