অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। আই হোল দিয়ে না দেখে কখনও দরজা খুলতেন না। তাহলে বেহালার পর্ণশ্রীতে মা এবং ছেলের খুনের ঘটনায় কি পরিচিত কেউ জড়িত আছেন? প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুলিশ এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার রাতের দিকে পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে একটি বহুতলের তিনতলা থেকে মা সুস্মিতা মণ্ডল (৩৫) ও ছেলে তমোজিতের (১৪) গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত গৃহকর্তা তপন বাড়ি ফিরে দেখতে পান, দরজা পুরোপুরি বন্ধ করা নেই। দুটি ঘরের মা এবং ছেলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। উদ্ধার করা হয় দুটি মৃতদেহ।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে তমোজিতের পরনে ছিল স্কুলের জামা। গলায় ছিল টাই। সম্ভবত অনলাইন ক্লাস করছিল সে। ল্যাপটপও খোলা ছিল। সেইসময় মা এবং ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তারইমধ্যে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ধারালো আঘাতের চিহ্নও মিলেছে দেহে। ফ্ল্যাটের মধ্যে যে আনুষঙ্গিক প্রমাণ মিলেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে একাধিক আততায়ী ছিল।
তবে পুলিশকে সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে দুটি বিষয়। দু'জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হল। অথচ প্রতিবেশীরা কোনও সাড়াশব্দ পেলেন না কেন? তাছাড়া তপনের থেকে জানা গিয়েছে, স্কুলশিক্ষিকা সুস্মিতা অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। আই হোল দিয়ে না দেখে দরজা খুলতেন না। তাহলে কি কোনও পরিচিতই খুনের পিছনে জড়িত আছেন? সেজন্যই কি প্রতিবেশীরা খুনের বিষয়ে কোনও টের পাননি? পাশাপাশি মোবাইল, সোনার গয়নাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। সেই দিকটিও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।