করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোনও ব্যক্তি NRS মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পর তার দেহ ফেরত পাবে না পরিবার। মৃতের করোনা পরীক্ষার ঝক্কি থেকে বাঁচতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। রাজ্যসভার সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেনের নেতৃত্বে হাসপাতালের রোগীকল্যাণ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃতদেহ সংরক্ষণ নিয়ে অত্যন্ত চাপে রয়েছে হাসপাতালগুলি। তার মূলক কারণ, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মৃতদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেকটা। তার জেরে হাসপাতালের মর্গে জমছে দেহ। ওদিকে মৃত্যুর পর প্রয়াত ব্যক্তির দেহ পেতে পরিবারকেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন।
এই পরিস্থিতিতে মৃতদেহের করোনা পরীক্ষা না-করানোর সিদ্ধান্ত নিল NRS কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর দেহ করোনায় মৃত ধরে নিয়েই করা হবে। দেহ সৎকার করবে প্রশাসন। পরিবার দেহ পাবে না।
একই সঙ্গে প্রয়াত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তাদের ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে করোনায় আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মতো সতর্কতা।
বলে রাখি, গত বুধবার গড়িয়া শ্মশানে সৎকারের জন্য বেওয়ারিশ মৃতদেহ পাঠানোর পর ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। গড়িয়া শ্মশানে মৃতদেহের প্রতি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মৃতদেহগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের। তার পরই এই সিদ্ধান্ত।
করোনা পরীক্ষার চাপ কমাতে শনিবারই উপসর্গহীন আক্রান্তদের আর পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার মৃতদেহের করোনা পরীক্ষাও বন্ধ করে দিল NRS কর্তৃপক্ষ।