রাজারহাট থানার লক আপে মৃত যুবকের দেহে মিলল না কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন। এর ফলে প্রাথমিকভাবে লক আপে মারধরের অভিযোগ খারিজ হয়ে গেল। ওই ঘটনায় এক সাবইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজারহাজ থানার লক আপে সঞ্জয় পাত্র নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয়ের। এই নিয়ে দিনভর থানার সামনে চলে বিক্ষোভ। যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় আরজি কর মেডিক্যালে। সেখানে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে হয় ময়নাতদন্ত। তাতে যুবকের দেহে কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাজারহাটের চাঁদপুরে দুয়ারে সরকার শিবিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা হয়। সেখানেই লাইন থেকে সঞ্জয়কে মারতে মারতে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মত্ত অবস্থায় ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছিলেন ওই যুবক। পরদিন পুলিশ লক আপে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় চন্দ্রনাথ বটব্যাল নামে এক সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট। তদন্ত এখনো চলছে।