স্বামী ২২ বছর আগেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু চাকরিসূত্রে স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দাবি করেও পাননি স্ত্রী। ১১ বছর আইনি লড়াইয়ের জয় পেলেন ৬৪ বছরের বৃদ্ধা। স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি পেতে চলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে মে মাসে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান হুগলির একটি জুটমিলে কর্মরত শ্রমিক শঙ্কর দাস। স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পার্বতী। কিন্তু স্বামীর কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর আট বছর পর চাকরিসূত্রে স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা জুটমিল কর্তৃপক্ষের কাছে চান পার্বতী। কিন্তু জুটমিল সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, স্বামীর মৃত্যুর প্রমাণ দেখাতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি টানা আট বছর নিখোঁজ থাকেন, তাহলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়টি জুটমিলকে জানানো হলেও সংস্থার তরফে তা মানতে চাওয়া হয়নি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। ২০০৯ সালে চন্দননগর মহকুমা আদালতের তরফে মহিলার দাবিকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেওয়ানি আইন অনুযায়ী মহিলার স্বামী মৃত। ফলে তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্পত্তি আদায়ের বিষয়ে জানাতেই পারেন। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যায় জুটমিল কর্তৃপক্ষ। সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চে যায় মামলা।
হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ওই মহিলাকে তাঁর স্বামীর সব পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। আদালতের এই রায়ের পর বৃদ্ধার তরফে আইনজীবী জানান, ওই মহিলা যে মিথ্যা দাবি করেননি, আদালতের রায়ে তা প্রমাণিত হল।