বেসরকারি স্কুলে মাত্রাতিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। এবার রাজ্য বিধানসভায় এনিয়ে উঠল প্রশ্ন। এই নিয়ে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে? তাই নিয়ে রাজ্য সরকারকে মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্ন করেন বিরোধীরা। তার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। এ নিয়ে শীঘ্রই আইন আনা হবে। এই সংক্রান্ত বিল রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এরপর বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ করানো হবে। শিক্ষামন্ত্রীর আশা বিরোধীরা নির্দ্বিধায় বিলটি সমর্থন করবেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুলের মর্জি মতো ফি আদায় রুখতে কমিশন গঠন করতে চলেছে রাজ্য সরকার
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিলটি বিধানসভায় পাশ হলে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে। তারপরেই শিক্ষা কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শিক্ষা কমিশনের মাথায় রাখা হবে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে। তাঁকে নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও, শিক্ষা কমিশনে থাকবেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনার, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ এসসিইআরটির অধিকর্তা এই কমিশনে থাকবেন। আর থাকবেন দু’জন শিক্ষাবিদ।
ওই কমিশন বেসরকারি স্কুলের সর্বোচ্চ ফি কত হতে পারে? তা নির্ধারণ করবে। এদিন রাজ্য বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। মূলত সরকারকে চাপে ফেলার জন্যই তিনি এই প্রশ্ন করেন । ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি আশা করছি এই বিল পাশ করার সময় বিরোধীদের সমর্থন পাব।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষা কমিশন করার জন্য ওই বিলটির নাম হল দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন বিল ২০২৩। স্কুল ফি নির্দিষ্ট করা এবং অভিভাবকদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি প্রয়োজনে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এই কমিশন। বেসরকারি স্কুলে মাত্রা ছাড়া ফি নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। সে ক্ষেত্রে এই কমিশন গঠন হলে বেসরকারি স্কুল গুলি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু একটি মামলায় বেসরকারি স্কুলগুলির ওপর রাজ্য সরকারের থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিলেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য রেগুলেটারি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর এই কমিশন গঠনের কাজ শুরু করে দেয় শিক্ষা দফতর।