হাওড়ার পাঁচলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার দিনভর সরগরম ছিল রাজনীতি। এমনকী ওই ঘটনা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। কিন্তু তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তালিকা থেকে গায়েব হয়ে গেল পাঁচলার ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ওই ঘটনায় পিছু হঠতে শুরু করেছে বিজেপি?
মণিপুরে ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে অত্যাচারের ঘটনায় প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। পালটা রাজ্যে নারীদের সঙ্গে একই ধরণের নির্যাতনের নজির তুলে ধরে তৃণমূলকে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। শনিবার দিল্লি থেকে ফিরে দলের রাজ্য সদর দফতরে ফের একবার নারী নির্যাতন ইস্যুতে তৃণমূলকে আয়না দেখাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তৃণমূলের জমানায় নারীদের ওপর মধ্যযুগীয় অত্যাচারের একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু তালিকায় ছিল না পাঁচলার ঘটনা।
এদিন সুকান্তবাবু, আলিপুরদুয়ার, মালদাসহ একের পর এক ঘটনার কথা সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর তুলে ধরে দেখান তিনি। কিন্তু পাঁচলায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে নির্যাতনের ঘটনার কথা এদিন শোনা যায়নি তাঁর মুখে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পাঁচলার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপিরই অন্দরে?
শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্তবাবু ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে পাঁচলার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ভাসান লকেট। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কী করে বিজেপির তালিকা থেকে বাদ চলে গেল পাঁচলা?