পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে আজ সকাল ১০টা নাগাদ ইডির গাড়িতে করে বের করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। সেই সময় প্রাথমিক ভাবে মনে কার হয়েছিল, সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে পার্থবাবুকে। তবে আচমকাই ইডি-র কনভয় সায়েন্স সিটি থেকে সোজা বাইপাস ধরে না এগিয়ে বাঁদিকে ঘুরে ট্যাংরার দিকে ঘুরে যায়। এরপর মনে করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করার পর পার্থবাবুকে আদালতে পেশ করা হবে। তবে সেখানেই চমক। এসএসকেএম-এর বদলে বেহালার দিকে এগোতে থাকে গাড়ি। পরে জোকার ইএসআই হাসপাতালের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় গাড়ি। এরপর প্রশ্ন ওঠে, এত রহস্য করে শেষমেষ মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে কেন নিয়ে আসা হল পার্থবাবুকে?
সাধারণত, ভিআইপি কাউকে গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতকে। তবে বহুবার হয়েছে, প্রভাবশালী কাউকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে এসএসকেএম-এ ভরতি করে ফেলা হয় সেই ব্যক্তিকে। এই আবহে পার্থবাবুর ক্ষেত্রে যাতে কোনও প্রভাব না খাটে, তাই এসএসকেএম হাসপাতালের বদলে জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থবাবুকে। উল্লেখ্য, ইএসআই ভারত সরকার চালিত হাসপাতাল। তাই রাজ্য সরকারের প্রভাব এখানে খাটবে না। এই যুক্তিতেই ইএসআই-তে নিয়ে আসা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
সবমিলিয়ে গতকাল রাজ্যের ১৩ টি জায়গায় অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। দুটি গাড়িতে সাত থেকে আটজন ইডির আধিকারিক পার্থের বাড়িতে আসেন। বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। এরপর আজ সকাল ১০টার কিছু আগে পার্থবাবুকে গ্রেফতার করা হয়।