দুর্গাপুজোর উদ্বোধনেও তৃণমূলকে টক্কর দিতে মাঠে নামল বিজেপি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করাতে চলেছে তারা। আগামী ২২ অক্টোবর শারদষষ্ঠীতে ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই আয়োজনে আপাতত সাজো সাজো রব রাজ্য বিজেপিতে।
শারদোৎসব বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে জনসংযোগের অন্যতম সুযোগ। এমনকী নাস্তিক বামেরাও শারদোৎসবে সামিল হতে বিভিন্ন জায়গায় বইয়ের স্টল দিয়ে থাকে। তবে পুজোর জনসংযোগকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বকলমে ক্লাব দখল করে পাড়ায় পাড়ায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করে তারা। তৃণমূলের হেন কোনও মন্ত্রী নেই যিনি রাজ্যের কোনও না কোনও পুজোর উদ্যোক্তা নন। পুজোয় জনসংযোগের ব্যাপারে তৃণমূল এতটাই মরিয়া যে জনগণের করের টাকায় চলতি বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার।
দুর্গাপুজোয় জনসংযোগের গুরুত্ব বুঝে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ পুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি। সেজন্য প্রথমে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বার্তার আয়োজন করেছিল তারা। সেই অনুষ্ঠানে প্রথমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরে বাঙালির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা দেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ হয়েছে পুজো উদ্বোধনপর্ব।
জানা গিয়েছে, বিধাননগরে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের অন্দরে যে দুর্গাপুজো হয় সেটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ষষ্ঠীর বিকেলে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পুজোর উদ্ধোধন করবেন তিনি। সেখানে হাজির থাকবেন বিজেপির তাবড় নেতা।
EZCC-র পুজোর সঙ্গে জড়িত বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। বিধাননগরের কিছু বাসিন্দাও এই পুজোর পৃষ্ঠপোষক। কেন্দ্রের অধীন এই প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন করলে তৃণমূল বা প্রশাসন কোনও ভাবে বাধাও দিতে পারবে না। তাই এই পুজোকেই বেছেছে বিজেপি।
সেদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার করবে বিজেপি। সেজন্য লাগানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিন। ভোটের মুখে দুর্গাপুজোয় হিন্দুত্বের লড়াইয়ে কে জেতে তার ফলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মে মাস পর্যন্ত।