খাস কলকাতায় তোলাবাজির টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক প্রবাসী বাঙালিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কের কাকুলিয়া রোড এলাকায়। সেই ঘটনার দশ দিন পর আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত খোকন সর্দার এবং তার ভাই রবিন ওরফে ভাইলো। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এরফলে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট ৩ জন।
আরও পড়ুন: নয়ডায় ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বচসা, রাগের বশে যুবককে মাথা থেঁতলে খুন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে লেক গার্ডেন রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশ থেকে খোকনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কয়েক ঘণ্টা পর তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছিল গত ২ ফেব্রুয়ারি। ভোলা প্রামানিক ওরফে বাপিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত ২৯ জানুয়ারি প্রবাসী বাঙালি জিষ্ণু নাথ তোলাবাজির টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার চোখে ও মুখে ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছিল। জিষ্ণু নাথ চাকরি সূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। এরপরে বিদেশি কোম্পানিতে তিনি চাকরি পান। সেই সূত্রে আমেরিকায় চলে যান। সেখানে সিয়াটেলে থাকেন।
গত ১৭ জানুয়ারি তিনি কলকাতার বাড়িতে এসেছিলেন। পুরনো বাড়ি সংস্কারের জন্যই তিনি কলকাতায় আসেন। তার বাড়ি আসার আগেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়। এদিকে, বাড়িটি সংস্কারের কাজের বরাত পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরে জিষ্ণুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন খোকন সর্দার নামে ওই প্রোমোটার। কিন্তু খোকনকে সেই কাজের বরাত দেননি জিষ্ণু। তিনি অন্য এক ঠিকাদারকে এই বাড়ির সংস্কারের দায়িত্ব দেন। তাতেই রাগ খোকনের। এরপর খোকন তার দলবল নিয়ে জিষ্ণুকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
ডিসি (দক্ষিণ–পূর্ব) জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, ‘আমরা মূল অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছি। মোট এখনও ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, হামলা ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। আক্রান্ত প্রবাসী বাঙালি জানান, ‘বুধবার রাতে আমাকে পুলিশ জানিয়েছিল যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছে। তারা আগাম জামিনের চেষ্টা করতে পারে। তারা আমাকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে আলিপুর আদালতে উপস্থিত থাকতে বলেছিল। আমি শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যাবো।’