এবার ভারতীয় ডাক বিভাগে গুরুত্ব পেল বাংলা ভাষা। নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের ডাইরেক্টরেটের পক্ষ থেকে এমনই নির্দেশ এসেছে কলকাতায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতা বা রাজ্যের নানা সার্কেল থেকে প্রকাশিত স্পেশাল বা স্মারক কভারের বিষয় ইংরেজি, হিন্দির পাশাপাশি এবার থেকে লেখা থাকবে বাংলাতেও। এই নির্দেশে পরই দেখা গেল, দুর্গাপুর সার্কেল থেকে প্রকাশিত দু’টি স্পেশাল কভারে বাংলা ভাষা।
এদিকে সেখানে ইংরেজি, হিন্দির সঙ্গে লেখা রয়েছে বাংলা ভাষাতেও। ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, এই নির্দেশ প্রত্যেকটি রাজ্যেই পাঠানো হয়েছে। ইংরেজি, হিন্দি এবং সেই রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। এই নির্দেশের জেরে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও গুরুত্ব পাবে বাংলা। এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস ও শুশুনিয়ার পাথর শিল্প নিয়ে দু’টি স্পেশাল কভার প্রকাশ করেছে দুর্গাপুর সার্কেল। স্পেশ্যাল কভার বলতে বোঝায়— কোনও বিষয়ের উপর থিম্যাটিক খাম।
অন্যদিকে বাংলার ঐতিহ্য দশাবতার খেলাই ডাক বিভাগের এখন থিম। বিশেষ কভারে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর সেগুলির বর্ণনা ইংরেজি, হিন্দির সঙ্গে রয়েছে বাংলা ভাষাতেও। যা এই প্রথম করা হল। দশাবতার তাসের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার পাথর শিল্প। বাঁকুড়ায় গ্রামের শিল্পীরা তৈরি করেন দেব–দেবীর সঙ্গে ঘোড়া, হাতির মূর্তি। এই কভারে তারও বর্ণনা রয়েছে বাংলা ভাষায়। তাহলে কি এভাবে বাংলার মানুষকে কাছে টানার কৌশল? এখানেও উঠছে রাজনৈতিক একাধিক প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ডিপোতে পড়ে আছে একাধিক অকেজো বাস, দুর্গাপুজোয় বিশেষ পরিষেবা দেওয়া চ্যালেঞ্জের
তবে এই বিষয়ে ডাক বিভাগের বিপুল সংগ্রহ ঝুলিতে থাকা গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘এতদিন শুধু বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত পোস্টাল আইটেমে বাংলা লেখা দেখা যেত। এবার তা এখানেও দেখা যাবে। আসলে বাংলা ভাষায় যত প্রাঞ্জল করে কোনও বিষয় বোঝানো যায় তা অন্য কোনও ভাষায় হয় না। ইংরেজি ভাষায় আমি দক্ষ হলেও ডাক সংক্রান্ত কোনও লেখা আমি বাংলাতেই লিখি। এটা সত্যি গর্ব করার মতো।’ এই সিদ্ধান্তের পর সেই বিষয়টির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা, ইউরোপ–সহ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসবাসকারী বাঙালির হাতে বাংলায় লেখা স্পেশাল কভার পৌঁছলে তাঁর অত্যন্ত ভাল লাগবে।