রাস্তায় জমা জলের মাত্রা দেখেই ঠিক করা হবে কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে কিনা।বুধবার সিইএসসি–এর তরফে এই কথাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিইএসসি–এর তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় বেশিরভাগ জায়গায় মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন গিয়েছে। শহরতলি এলাকায় মাটির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন গিয়েছে। রাস্তায় জমা জলের মাত্রা দেখে ঠিক করা হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে কিনা। খুব প্রয়োজন না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে না।
ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।সিইএসসি–এর তরফে জানানো হয়েছে, সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সিইএসসি–এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই সব এলাকায় জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল।সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন, কেউ যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা না যান, সেজন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে। সতর্ক না থাকার জন্য অনেক মানুষ প্রাণ হারান। তিনি জানান,‘আমার বাড়ির বিদ্যুৎও আমি বন্ধ করে রেখেছি।’ তবে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে যে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তারই আঁচ দিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন তিনি জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে আঁচ করা যাবে।