বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Rigent park murder: খুনই করা হয়েছে যুবককে, রিজেন্ট পার্কের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি

Rigent park murder: খুনই করা হয়েছে যুবককে, রিজেন্ট পার্কের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি

রিজেন্ট পার্ক থানা। ফাইল ছবি।

রবিবার অমিতের তিন সহকর্মী দেবাশিস অধিকারি, সোমনাথ চক্রবর্তী এবং সুমন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

টাকা নিয়ে বচসার জেরে রিজেন্ট পার্কে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে জানা গিয়েছে, লাঠি দিয়ে মারধর করার ফলেই অমিতরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। তার মাথা, হাত, পা, কিডনি সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাদের চিহ্ন মিলেছে। এই অবস্থায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের ধারা যোগ করা হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

এই ঘটনায় রবিবার অমিতের তিন সহকর্মী দেবাশিস অধিকারি, সোমনাথ চক্রবর্তী এবং সুমন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিত রঞ্জন যে বীমা সংস্থায় কাজ করতেন তার নাম করে বাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু বীমা সংস্থায় সেই টাকা জমা করেননি। এই নিয়ে সংস্থার মালিক সুমনের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। তবে তবে অমিতকে মারধর করা হয়েছিল দেবাশিসের ব্যাগ থেকে ৪৫০ টাকা চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে।

এর জেরে সন্দেহের বশে পাঁচ জন মিলে অমিতকে বেধরক মারধর করে। এরপর সুমন তার গাড়িতে করে অমিতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা অমিতকে অপরিচিত বলেই দাবি করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ওই যুবককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তারা তাকে চেনে না। এরপর অমিতকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করতেই তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অনুমান, সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্যই মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল অভিযুক্তরা।

এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তভার নিয়েছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। মারধরের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে। তবে এর পিছনে কোনও পুরনো শত্রুতা রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

বন্ধ করুন