প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন ধরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বসে রয়েছেন রাস্তা। তাঁদের দাবি অযোগ্যরা চাকরি করছেন। কিন্তু যোগ্যদের চাকরি মিলছে না। তবে এবার অযোগ্যদের চাকরি থাকবে কি না তা নিয়ে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। ফের অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে দিল হাইকোর্ট।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার হয়তো যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বহুদিনের দাবি মিটতে পারে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গেই তদন্তে কেন গতি আসছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিচারপতি।
এদিকে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন ৯৪জন। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আদালত ঠিক করেছে বেআইনি যে সমস্ত চাকরি রয়েছে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে গত অক্টোবর মাসেও অবশ্য ওই ৯৪জনের চাকরি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি।
এদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানে গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন তখন তাঁদের কাঁটা বেছানো পথে যেতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সত্য় অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন তারা। আর এবার এখানেও আশাবাদী সিবিআই। সত্য় সামনে আসবেই।
এদিকে সেই সত্য কবে সামনে আসবে সেদিকেই বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করে আছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ তাঁদের দাবি, তাদের জায়গায় চাকরি করছেন অযোগ্যরা। আর বছরের পর বছর ধরে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেও তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত। এই যন্ত্রণা আর কতদিন?
তবে প্যানেল প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু সেই প্যানেল প্রকাশের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ৯৪জনের জায়গায় যারা যোগ্য তাদের চাকরি দেওয়া হোক। কিন্তু বেআইনী বলে উল্লেখ করা চাকুরিরতদের আইনজীবীদের দাবি, প্যানেল যদি বেআইনি হয় তবে সেই প্যানেল থেকে নতুন করে নিয়োগ করা যায় না। সেক্ষেত্রে নতুন করে প্যানেল করা হোক।
এদিকে নতুন করে প্যানেল করা মানে কার্যত নতুন নিয়োগ। মানে নতুন করে নিয়োগের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় আবার সেই অভিযুক্তরা অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারেন।