স্ত্রীর দেহ পড়েছিল মেঝেতে। চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল তাঁর দেহ। অন্যদিকে স্বামীর দেহ ঝুলছিল সিলিং থেকে। পুলিশ এসে দেহদুটিকে উদ্ধার করে। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত নন্দলাল মুখার্জি লেনের বহুতলের নীচের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেহদুটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত স্বামীর নাম গৌতম মাইতি ও স্ত্রীর নাম মৌসুমী মাইতি। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাঁদের এই ভয়াবহ পরিণতি হল? গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ফেসবুকে আসক্তি ছিল স্ত্রীর। এটা পছন্দ ছিল না স্বামীর। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। এদিন আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে এসে দুই মেয়ে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারপরই দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় দেহ দুটি। প্রতিবেশীদের দাবি মহিলার শরীরে রক্তের দাগ ছিল। তবে তাদের খুন করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক ধরে তাঁরা ওখানে ভাড়া থাকতেন। গৌতম মাইতি হোটেলে কাজ করতেন। আর্থিক সমস্যা কিছুটা ছিল। পারিবারিক অশান্তিও মাঝেমধ্যে হত। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। ওদের ভেতরে কী ব্যাপার ছিল সেটাও জানি না। তবে এদিন ওদের বাচ্চাগুলো বাইরে ছিল। এদিকে ঘরের মধ্যে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহদুটিকে উদ্ধার করে।