আজ ১২ ডিসেম্বর। ডেডলাইন দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার মধ্যেই আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে বিরোধী দলনেতার সভা। সুতরাং সেদিক থেকে আজ হাইভোল্টেজ সোমবার। কারণ ডিসেম্বর ধামাকার পয়লা তারিখে সোচ্চার হবেন তিনি। এই সভা করার পর তিনি নয়াদিল্লিতে যাবেন। কারণ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের। তাই আজ রাতেই রওনা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। একক এই সভা করতে গিয়ে আরএসএসের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল শুভেন্দু অধিকারীকে বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর এই হাজরায় করা সভা দল থেকে ঘোষণা করা হয়নি। অর্থাৎ এটা দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল না। আবার শুভেন্দুর সঙ্গে সুকান্তর মধুর সম্পর্ক নয়। এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদার এই সভায় যাচ্ছেন বলে পাল্টা খেলে দেন। এমনকী দলের দক্ষিণ কলকাতা জেলা নেতৃত্বকে ফোন করে সেটা জানিয়ে দেন। এই কথা শুভেন্দুর কানে যেতেই তিনি প্রচণ্ড রেগে যান। আর দক্ষিণ কলকাতা জেলা নেতৃত্বকে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ‘আমি যাব না। সবটাই রাজ্য নেতৃত্ব করুক। আমি কোনও দায়িত্ব নেব না।’ তখন বিষয়টি আরএসএসের কানে তোলা হয়।
কেমন ভর্ৎসনা করা হয়েছে শুভেন্দুকে? দক্ষিণ কলকাতার সংগঠনের সূত্রে খবর, আরএসএস এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠায়। সেখানে আরএসএসের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে বলে দেওয়া হয়, ‘আপনি যেভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল চালাচ্ছেন সেটা আমরা অনুমোদন করি না। আপনার একার কোনও সিদ্ধান্তে কর্মসূচি হবে না। সবটাই হবে দলের কর্মসূচি। সুকান্ত মজুমদার–সহ দল যাঁকে মনে করবে সেখানে পাঠাবে। আপনি বাইরে থেকে কিছু করতে পারবেন না। দলের কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করার চেষ্টা করুন।’ এরপর সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা হয় শুভেন্দু অধিকারীর।
আর কী জানা যাচ্ছে? আরএসএস এই ঘটনা নয়াদিল্লিতে জানিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কার্যত নালিশ ঠুকেছে। তাই নয়াদিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে পাল্টা বলতে পারেন শুভেন্দু। তবে জেপি নড্ডার সঙ্গে যে বৈঠক রয়েছে সেখানে সুকান্ত এবং দিলীপও থাকবেন। সেখানে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকে। আর শুভেন্দু অধিকারীর হাজরার সভার ঠিক পরের দিন এখান থেকে তোপ দাগবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা।