সন্দেশখালি নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রায় দেড় মাস ধরে চলে আসছে এই ইস্যু। কিন্তু, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও সেখানে যাননি এলাকার সাংসদ নুসরত জাহান। তা ঘিরে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে নুসরতের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আর এবার এনিয়ে নুসরতের সমালোচনা করলেন তাঁর দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ ‘গোমূত্র দিয়ে কুলকুচি করে রায় দিতেন’ নাম না করে অভিজিৎকে তোপ সায়নীর
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলিতে ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে দলীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়নী বলেন, নুসরত সেখানকার একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাই তাঁর সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। সেখানকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। তবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। একইসঙ্গে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালির মানুষের পাশে থেকেছেন।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল ইডি। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আধিকারিক আহিত হয়েছিলেন। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। এরপরে জন বিস্ফোরণ হয় সন্দেশখালিতে।
শাহজাহান সহ তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগকে ঘিরে তপ্ত হয়ে সন্দেশখালি। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মহিলারা। কীভাবে তাদের ওপর নির্যাতন হত সেই বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন সেখানকার নির্যাতিতা মহিলারা।
এই ঘটনার পর সেখানে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু, এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও সেখানে যাননি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত। এর জন্য তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
পরে অবশ্য নুসরত জানিয়েছিলেন, এই সংকটময় পরিস্থতিতে সকলের উচিত প্রশাসনকে সাহায্য করা। রাজ্য সরকার স্থানীয়দের সাহায্য করছে। তিনি নিজে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। কিন্তু, তারপরেও তিনি সেখানে যাননি। আর এবার এই নিয়ে দলের নেত্রীর সমালোচনার মুখে পড়তে হল তৃণমূলের তারকা সাংসদকে।