এবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র নেতা। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের পুড়িয়ে মারার নিদান দিয়েছেন ওই ছাত্রনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বাম ছাত্র নেতার ভিডিয়ো প্রকাশ হতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এনিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের ওই ছাত্র নেতার নাম হল অনুষ্টুপ চক্রবর্তী। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘সামাজিক আরশোলা’ বলতে শোনা গিয়েছে ওই বাম ছাত্র নেতার মুখে।
প্রকাশ্যে তিনি বলেন, ‘অনুব্রত, আরাবুল, আনারুলের মতো সামাজিক কিটদের ছুটিয়ে মারবো। যেখানে তৃণমূলের সামাজিক কিটদের দেখা যাবে সেখানেই তাদের ছুটিয়ে মারতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের মতো সামাজিক আরশোলাদের যদি আমরা ছুটিয়ে মারতে না পারি তাহলে ওরা আমার আপনার ঘর নোংরা করবে। ক্ষোভের আগুনে, প্রতিবাদের আগুনে তৃণমূলকে পুড়িয়ে মারতে হবে। বাম ছাত্র নেতার এরকম মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গবেষক ছাত্র সঞ্জীব প্রামাণিক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ধর্মঘট সফল করার জন্য ওরা আমাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণে ওরা পুড়িয়ে মারার কথা বলেছে।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বাম ছাত্র নেতার এই ভাষণের তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসএফআইয়ের এটাই আসল রূপ। ওরা শুধুমাত্র যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সিতে বেঁচে রয়েছে। তবে সেখানেও তারা খুব তাড়াতাড়ি মুছে যাবে। বাংলার কোনও ক্যাম্পাসই তাদের মেনে নেবে না।’
যদিও এই ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছে এসএফআই ছাত্রসংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মিছিলে ব্যারিকেডের লাল আগুনে তৃণমূলকে পুড়িয়ে মারার কথা বলেছিলাম। রূপকার্থে এই কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ভাষা-সাহিত্যের জ্ঞান না থাকায় তৃণমূল সেটা বুঝতে পারিনি।’ উল্লেখ্য বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলি গত ২৮ এবং ২৯ মার্চ সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিল। সেই ধর্মঘটেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বক্তব্য রেখেছিলেন বাম ছাত্র নেতা।